শিকারিনী-বেশে: অন্তঃপুর থেকে অরণ্যে
চণ্ডিকাপ্রসাদ ঘোষাল
‘শিকারি’ শব্দটা উচ্চারিত হলেই চোখের সামনে খাকি পোশাকে বন্দুকধারী পাকানো গোঁফের পুরুষের চেহারাটাই ভেসে ওঠে। অথচ, প্রাচীন গ্রিসের বনদেবী আর্টেমিস বা রোমান ডায়ানা হাবেভাবে রীতিমতো শিকারি। শিকার বিষয়টা 'স্পোর্টস' হিসাবে পরিগণিত হতে শুরু করে মূলত ভিক্টোরিয় পরিসরে। তা হয়ে দাঁড়ায় পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পৌরুষ প্রদর্শনের ক্ষেত্রবিশেষ । ভারতে পশ্চিমী শক্তির উপনিবেশ বিস্তৃত হলে শাসক শ্বেতাঙ্গরা এদেশের প্রাণীজগতের উপর প্রভুত্ব কায়েমের লক্ষণ হিসাবে শিকারকে গুরুত্ব দিতে শুরু করে। সেটা ভিক্টোরিয় কালপর্বই। সেখানে পুরুষ শিকারিদের সমান্তরাল নারীরাও উঠে আসেন হাতে অস্ত্র নিয়ে শিকার ক্রীড়ায়। কেমন ছিল নারীদের দেখা অরণ্যজগৎ ? পৌরুষ-সর্বস্ব উপনিবেশবাদই মূলত বা শিকারিনীদের কী চোখে দেখত? ব্রিটিশ আমল থেকে স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের দেশি-বিলেতি শিকারিনীদের আখ্যান এখানে তুলে ধরেছেন লেখক। পাশাপাশি রয়েছে এ হেন শিকারিনী বৃত্তান্তের নারীবাদী নিরীক্ষণও। সব মিলিয়ে এই বই উত্তর-উপনিবেশবাদ তথা সংস্কৃতিবিদ্যা চর্চার এক প্রায়-অচর্চিত দিকে আলো ফেলছে। সেই সঙ্গে রম্য গদ্যে সেকালিনিদের শিকারগাথা কম রোমঞ্চকরও নয়।
প্রকাশনা রাবণ [] বাকি তথ্য পৃষ্ঠার নিচে
Author
Chandika Prosad Ghosal
Publisher
Raban
ISBN
978-81-940257-7-1
Other Details
১৯২ পৃষ্ঠা। হার্ডব্যাক, জ্যাকেট।
Category
নন-ফিকশন, আলোচনা।
Tag
Shikarini Beshe: Antohpur Theke Aronye