সফলতা-নিষ্ফলতা (প্রামাণ্য পাঠ)
জীবনানন্দ দাশ
১৯৩২ সালের ৫-৬ জুলাই। লিটারেরি নোট্স -এর খাতার এন্ট্রি অনুযায়ী, জীবনানন্দ দাশের বাবা কাজের খোঁজে তাঁকে কলকাতা যেতে বলছেন। পরের এন্ট্রি ৭-৮ তারিখের, যেখানে তিনি বরিশাল থেকে কলকাতা অভিমুখে যাত্রা শুরু করছেন। কলকাতা থেকে ফিরছেন দু-মাস পরে। এই জুলাই-অগাস্টে মোট যে পাঁচটি উপন্যাস লিখছেন তিনি, ধরে নেওয়া যায় সফলতা-নিষ্ফলতা তার শেষতম ।
গদ্যনির্মাতা জীবনানন্দকে বুঝে উঠতে অপরিহার্য এই আখ্যানটি আদতে চারটি খাতাজুড়ে একটি ‘সফল’ উপন্যাসের কাঠামো তৈরির পরিকল্পনা। নিখিলের বয়ানে জীবনানন্দ যেন ‘সফলতা’ ও ‘নিষ্ফলতা’-র সংজ্ঞাকে ক্রমাগত গড়েছেন এবং ভেঙেছেন। আখ্যান লেখার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত জীবন ও পরিপার্শ্বের উপাদানকে মূল উপজীব্য করেও তা নিয়ে বোধ হয় তিনি কোনোমতেই খুশি হতে পারছিলেন না, বিশেষত গদ্যের আঙ্গিক নিয়ে তাঁর অতৃপ্তি স্পষ্ট এই উপন্যাসে। পার্থিব প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির চেয়েও লেখকজীবনের এই নিষ্ফলতাই আরও প্রকট হয়ে উঠছিল কি তাঁর কাছে? কলকাতা ছেড়ে যাবার ঠিক আগে, ১৯৩২-এর সেপ্টেম্বরের এন্ট্রিতে তাই কি লেখেন ‘Awfully unsuccessful attempt with Baneswar : a great waste..’?
পাণ্ডুলিপির মূল-অনুসারী এই প্রামাণ্য পাঠ জীবনানন্দের গদ্যচর্চার ক্ষেত্রকে আরেকটু উর্বরা করবে, আশা করা যায়।
প্রকাশনা প্রতিক্ষণ [] বাকি তথ্য পেজের নিচে
Author
Jibanananda Das
Publisher
Pratikshan
ISBN
978-93-94205-09-3
Other Details
২৪৮ পৃষ্ঠা। হার্ডব্যাক, জ্যাকেট।
Category
উপন্যাস
Tag
Safalata-Nishfalata

















